হংকং আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান পলাশ এর বিরুদ্ধে জোর পূর্বক জমি দখল ও ভাড়া না দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন।
সাবেক খুলনা জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম সারোয়ার জমাদ্দারের ভগ্নী বেগম মমতাজ লিলির বটিয়াঘাটা থানায় রাঙ্গামারী মৌজার সিটি রিসোর্ট নামে পার্ক তৈরি করে জমি দখল ও মাসকে মাস ভাড়া না দেয়ার অভিযোগের বিরুদ্ধে আজ সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় খুলনা প্রেসক্লাব এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম মমতাজ লিলি বলেন আমার ছেলে দীর্ঘ ২০২১ সাল পর্যন্ত পরিচালনা করিতাম এবং এই পার্কে বহু সাংবাদিক সংগঠন এবং খুলনার অনেক গণ্যমান্য বেক্তিবর্গ সহ অনান্য সংগঠন এবং আমার পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অনুষ্ঠিত হতো। যে কারনে খুলনা বাসির কাছে এটি একটি প্রিয় স্থান ছিল।
গত ১১/১২/২০২১ইং সালে আমার গ্রামের এক আত্মীয় মেহেদী হাসান আমার কাছে পার্কটি বানিজ্যিকভাবে পরিচালনা করার প্রস্তাব দিলে আমি রাজি হই, পরবর্তীতে কালাম মাহমুদ এবং আশফাকুর রহমান পলাশকে সাথে নিয়ে আমার কাছে হাজির হয় যাদের আমি চিনতাম না, পার্কটিতে যেহেতু আমার ছেলে মাসুদুর রহমানের অবকাঠামো তৈরি করা ছিল আগেই, সেহেতু তাকে তারা ৪০% শেয়ারে মালিকানা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তারা ৪ জন এভাবেই চুক্তিপত্র সম্পূর্ন করে আমার সাথে মাসিক ৩০ হাজার টাকায় গত ১/২/২০২২ইং তারিখ হইতে ভাড়ার চুক্তিপত সম্পন্ন করে। ভাড়ার চুক্তির সম্পাদনের প্রথম মাসেই আশিকুর রহমান পলাশ আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে পার্ক থেকে রের করে দেয় এবং এই পলাশ তার লোকজন দিয়ে পার্ক পরিচালনা করতে থাকে সে প্রথম কয়েক মাস আমাকে অনিয়মিত ভাড়া দেয় পরবর্তীতে গত ১২ মাস সে কোন ভাড়া প্রদান করে নাই। আমি গত ১০/০৭/২৪ইং তারিখে ভাড়া আদায়ের জন্য উকিল নটিশ প্রদান করি কিন্তু তারপরও সে ভাড়া না দিয়ে আমাকে ফোনে হুমকি প্রদান করে। আশফাকুর রহমান পলাশ পরবর্তীতে আমি জানতে পারি সে হংকং আওমীলীগ এর সভাপতি এবং শেখ সোহেলের বন্ধু। যে শক্তি বলে গত ২ বৎসর সে আমার পার্ক দখল করিয়া ব্যবসা করিয়া অর্থ উর্পাজন করিলেও আমার ভাড়া প্রদান করেনাই।
আমার ভাড়ার চুক্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে এই প্রতিষ্ঠানে কোন আসামাজিক কার্যকলাপ করা যাবেনা। যাহা চুক্তি ভঙ্গের কারন। ২য় চুক্তি ভঙ্গ হল সাবলেট দেওয়া যাবে না কিন্তু সে এখানে রাসেল নামে এক মেলা ব্যবসায়ীকে পার্কে মেলা করার জন্য দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়া দেয় এবং রেস্টুরেন্ট সাবলেট দেয় যাহা চুক্তি ভঙ্গের কারন।
সে কারণে আমি গত ১৫/১০/২০২৪ইং তারিখে তার নামে বটিয়াঘাটা থানায় একটি সাধারন ডাইরী করিয়া ঐ পার্কে আমি নিজ হাতে তালা দিয়ে আসি। গত ৫ দিন ধরে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে এবং গতকাল সন্ধায় আমাকে চাপ প্রয়োগ করে চাবি দিতে বাধ্য করে।
আপনার মতামত লিখুন :