অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ ইউনুস সম্পর্কে চক্রান্তমুলক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করায় নির্বাহী ম্যাজিট্রেট তাপসি তাবাসসুম উর্মির বিরুদ্ধে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট আমলি আদালতে মানবাধিকার কর্মি ও সচেতন নাগরিক মোল্যা শওকত হোসেন বাবুল ১০০০ কোটি টাকার মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহি মামলা দায়ের করেন।
বাদী একজন সচেতন ব্যক্তি হইতেছে। অপরদিকে আসামী একজন রাষ্ট্রদ্রোহী ব্যক্তি হইতেছে।
বাদী গত ইং ০০৬/০৭/২০২৪ ইং তারিখে রাত ৭.০০ ঘটিকার সময় নিজ বাসায় বসে ফেসবুক খোলেন। ফেসবুক দেখতে দেখতে বাদী দেখেন যে, Tapashee Tabassum Urmi নামে তার ফেসবুক এ্যাকাউন্টে লিখেছেন “সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন “রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে, অতীত মুছে গেছে।” রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। “এতই সহজ কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার মহাশয়।” তবে একটা বিষয়ে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। তুমি কে আমি কে রাজাকার, রাজাকার। আপনাদের এই শ্লোগানটা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য ছিলো এটা এত অল্প সময়ে দিনের আলোর মত পরিষ্কার করে দিয়েছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ। আসামী উপরোক্ত ফেসবুক স্ট্যাটাসে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী মাননীয় ড. মুহাম্মদ ইউনুচকে উদ্দেশ্য করে বলেন ফেসবুক মন্তব্যের মধ্যে “এতই সহজ কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে” বলে সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে আক্রমণ করে লিখেছেন “বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সরকার কর্তৃক গণহত্যায় শহিদ আবু সাঈদ সহ সকল শহিদের নিয়ে বিদ্রুপ মন্তব্য করেন এবং শহিদ আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী, রাজাকার বলেছেন। তিনি একজন সরকারী কর্মচারী হয়ে উক্ত মন্তব্য ফেসবুকে এর মত সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যমে পোষ্ট করা মানে তিনি সরকার উৎখাত ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুচকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই। আসামীর মন্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। বাদী উক্ত মন্তব্য করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন এবং সরকার প্রধানকে নিয়ে জনগণের মধ্যে ঘৃনা সহ বাজে মন্তব্য করে তা ফেসবুকের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে সরকার প্রধানের মান সম্মান নষ্ট করেছেন। সরকার প্রধান ড. মুহম্মদ ইউনুচ বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেল বিজয়ী সহ অন্যান্য প্রায় শতাধিক পুরস্কারে ভূষিত এবং তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। আসামী উক্ত ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে তার ১,০০০ কোটি টাকা সম্মান ক্ষুন্ন করেছেন।
আসামী উপরোক্ত বর্ণনা মতে রাষ্ট্রদ্রোহিতা সহ মানহানি করিয়া দঃ বিঃ ১২৪ক ও ৫০০ ধারার অপরাধ করেছেন
স্বাক্ষীগণ ঘটনা প্রত্যক্ষভাবে জ্ঞাত আছেন এবং যাহার দালিলিক ও মৌখিক স্বাক্ষী রহিয়াছে। তাহারা স্বাক্ষ্য দিয়া বাদীর ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করিবেন।
এ কারণ প্রার্থনা, বাদীর নালিশী আবেদনটি গ্রহণ করতঃ আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করতঃ স্বাক্ষীদের প্রতি প্রসেস ইস্যু করার আদেশ দান সহ অন্যান্য আদেশ দানে মর্জি হয়।
আপনার মতামত লিখুন :