সাংবাদিক সমাজের জন্য আশাজাগানিয়া খবরই বটে। দীর্ঘ এক যুগের টালবাহানা ও তদন্তের নামে তামাশার পর বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারে গতি সঞ্চারের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তদন্ত শেষে ছয় মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত সোমবার এ আদেশ দেন। আর আগে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এক যুগ আগে উচ্চ আদালতের ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল দেওয়া এক আদেশে এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। দীর্ঘ এ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা পড়েনি। তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ অন্তত ১১১ বার পিছিয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য র্যাবের কাছে স্থানান্তরের ওই আদেশ (২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল) সংশোধন চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের পক্ষে আবেদনটি করা হয়।
সাগর-রুনি দম্পতিকে নিজ শয়নকক্ষে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার চেয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছিল দেশের সাংবাদিক সমাজ। গেল আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার সাংবাদিকদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। নতুন বাংলাদেশে সাংবাদিকরা সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিচার দাবিতে নতুন করে সোচ্চার হয়েছেন। এমনই প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট উচ্চক্ষমতার টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ দেয়।
পাশাপাশি রুনির ভাই নওশের আলম এ মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শিশির মনিরকে আইনজীবী নিযুক্ত করেন। চৌকস ও দক্ষ আইনজীবী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া শিশির মনিরের সঙ্গে আরও অন্তত নয়জন আইনজীবী সাগর-রুনি হত্যার রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের বিচারের আওতায় আনতে কাজ করবেন বলে জানানো হয়েছে।
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত ও বিচারে গতি আনার উদ্যোগটি সরকারের তরফে নেওয়া হয়েছে। এটা ইতিবাচক। হাইকোর্টে আবেদনের ওপর শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক বলেন, এটি স্পর্শকাতর মামলা, সাগর-রুনি হত্যা মামলা। হাইকোর্টের ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল দেওয়া আদেশ অনুসারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) থেকে মামলাটি তদন্তের জন্য র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। যথেষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো ফল আসেনি। এ ধরনের তদন্ত পরিচালনার জন্য র্যাবের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। তদন্তে দেরি ও অগ্রগতি না থাকা এ সীমাবদ্ধতার নির্দেশক। র্যাব অপারেশনাল ফোর্স, তদন্তকারী সংস্থা নয়।
শুনানির একপর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত বলেন, র্যাব থেকে সরিয়ে কার কাছে নিতে চান? তখন অনীক আর হক বলেন, আগের নির্দেশ সংশোধন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একপর্যায়ে আদালত বলেন, বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স হলে প্রয়োজনে যাকে দরকার তাকে আনার বিষয়টি উন্মুক্ত থাকবে।
সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলম। তার পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বাদী আছেন, যিনি বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণা ও ভোগান্তি বয়ে বেড়াচ্ছেন। এ সময় আদালত বলেন, ‘এটি শুধু উনার নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের সব নাগরিক, সবার জন্য খুবই দুঃখজনক ঘটনা ও শকিং। এবার সত্যিই দেখতে চাচ্ছি, যেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।’ এরপর ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিলের আদেশ সংশোধন চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী বছর ৬ এপ্রিল দিন ধার্য রাখেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এ মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন থেকে মামলাটির তদন্ত করছিল র্যাব।
২০১২ থেকে ২০২৪। এক যুগে বুড়িগঙ্গা দিয়ে কত পানি গড়িয়েছে তার হিসাব নেই। হাজার হাজার চাঞ্চল্যকর খুনের মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। বিচার হয়েছে লাখো মামলার। সাগর-রুনির দুর্ভাগা পুত্র মেঘের বয়স সাড়ে পাঁচ বছর থেকে বেড়ে প্রায় আঠারো। কিন্তু পিতা-মাতা হত্যার বিচার পায়নি সেদিনের সেই অবোধ শিশুটি। সাংবাদিকরা কত খুনের বিচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু নিজেদের দুই সহকর্মী বেডরুমে খুনের বিচারের জন্য প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। বিরামহীন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগ আদালতে আনুষ্ঠানিক ব্যর্থতা স্বীকার করেছে। এমন ব্যর্থতা স্বীকার করার দ্বিতীয় নজির আছে বলে মনে হয় না। আর এলিট ফোর্স র্যাব লিখিতভাবে ব্যর্থতা স্বীকার না করলেও হাইকোর্টের নতুন আদেশের মধ্য দিয়ে গ্লানি নিয়েই এ মামলা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
উচ্চক্ষমতার টাস্কফোর্স কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। কারা এ দায়িত্ব পাবেন তা দেখতে হয়তো আরও কদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে এটা বলা যায়, টাস্কফোর্স যাদের নিয়ে গঠিত হবে, তারা চাঞ্চল্যকর এ হত্যার রহস্য ভেদ করতে বেশ চাপেই থাকবেন। কারণ ১২ বছর আগে তদন্তের ক্ষেত্রে যে সাক্ষ্য, প্রমাণ ও আলামত ছিল, তা নতুন করে সন্নিবেশ ঘটিয়ে তাদের এগোতে হবে। ঘটনার সময় যেসব পুলিশ কর্মকর্তা থানায় বা জোনে দায়িত্বে ছিলেন, তারা তাৎক্ষণিক যেভাবে ঘটনাটি দেখেছেন, নতুন টাস্কফোর্স সদস্যরা কতটা পাবেন তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দিন তাৎক্ষণিকভাবে যেসব আলামত ও তথ্য-উপাত্ত সামনে এসেছে, সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, তার কিছুটা এখানে তুলে ধরতে চাই। তদন্তে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের জন্য এসব সহায়ক হতে পারে।
বর্বরোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের পর সাগর-রুনির এ-৪ ফ্ল্যাটের চিত্র কেমন ছিল তার বিবরণ পাওয়া যায় পরদিন ১২ ফেব্রুয়ারির সংবাদপত্রে। বর্ণনা ছিল এমন—‘শয়নকক্ষের মেঝেতে থকথকে রক্ত। সেখানে পড়ে রয়েছেন রক্তাক্ত সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি। সাগরের পরনে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট, গা খালি। রুনির পরনে ছিল ঘরে পরার পোশাক। সাগরের হাত পিছমোড়া করে এবং পা লাল কাপড় দিয়ে বাঁধা, মাথাও ছিল লাল কাপড়ে ঢাকা। ঘরের আসবাব এলোমেলো, আলমারির ড্রয়ারসহ জিনিসপত্র বিছানার ওপর স্তূপ করে রাখা। শয়নকক্ষ ছাড়া বাসার কোথাও কোনো রক্তের দাগ ছিল না। জিনিসপত্রও গোছানো। ছোট্ট খাবার টেবিলটিও ছিল পরিপাটি। রান্নাঘরে শুধু একটি ম্যাগি নুডলসের প্যাকেট পড়ে ছিল।’
মেহেরুন রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা ঘটনার দিন এটিএন বাংলাকে জানান, সকাল ৭টার দিকে মাহিন সরওয়ার মেঘ তাকে মোবাইল ফোনে বলে, ‘মেমি (মা)-বাবা মারা গেছে।’ এরপর তিনি ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে ছুটে আসেন। দরজা ভেতর থেকে খুলে দেয় মেঘ। আর সাগর-রুনির শিশুপুত্র মাহিন সরওয়ার মেঘ ঘটনার দিন এটিএন বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিল, ‘তাদের হাতে পিস্তল ও ছুরি ছিল। আমাকে গুলি করতে চেয়েছিল।’
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি ছিলেন তখন জাকির হোসেন। তিনি ঘটনার পর মেঘের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। মেঘ তাকে জানায়, সকাল ৭টার সময় ঘুম ভেঙে সে বাসায় দুজনকে দেখেছে। তারা চলে যাওয়ার পর সে দরজাও লাগিয়ে দেয়। এরপর মা-বাবার কক্ষে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পায়। তখন সে নানিকে ফোন করে। মেঘ ওসিকে জানায়, বাসা থেকে যে দুজনকে সে বেরিয়ে যেতে দেখেছে, সেই দুজনকে সে আগের শুক্রবার স্কুলের পিকনিকে দেখেছে।
এদিকে মর্গের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে ঘটনার পরদিনের পত্রিকায় জানানো হয়—নিহত সাগরের শরীরে আঘাতের ধরনগুলো দেখে মনে হয়েছে, খুনি অপেশাদার এবং অন্ধ আক্রোশে এলোপাতাড়ি ছুরি চালিয়েছে। সাগরের শরীরে ২০টির বেশি গভীর ক্ষত ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কাটার দাগ ছিল। রুনির পেটে ছুরিকাঘাতে শরীরের অভ্যন্তরের নাড়ির কিছু অংশ বেরিয়ে ছিল। রুক্তনালি কেটে গিয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ দুজনের মৃত্যুর কারণ।
সাগর-রুনিকে হত্যার সময় ওই ফ্ল্যাট বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন পলাশ রুদ্রপাল। তিনি সেদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ভোরবেলা ভবনটির ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি নুরুন্নবী ইন্টারকমে তাকে বলেন, ‘একটা কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, খুঁজে দেখো।’ এরপর পলাশ হুইসেল বাজিয়ে ভবনের ভেতরে ও আশপাশে খুঁজে কিছু পাননি। ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি মো. নুরুন্নবী সে সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ফজরের আজানের সময় তিনি বেশ কিছুক্ষণ ধরে পুরুষ কণ্ঠের চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনেছেন। তবে শব্দের উৎস বুঝতে না পেরে নিচতলার নিরাপত্তাকর্মীদের বিষয়টি খুঁজে দেখতে বলেন।
ঘটনাটি যে কোনো ডাকাতি নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল, তা পরিষ্কার হয়েছে তখনই। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্লা ঘটনার দিন প্রথম আলোর সাংবাদিককে বলেন, ‘ঘরের ভেতর থেকেই ল্যাপটপ, মোবাইল, টাকাসহ মূল্যবান কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতি হলে দুর্বৃত্তদের সবই নিয়ে যাওয়ার কথা। সুতরাং এটা যে ডাকাতি বা লুটের কারণে হত্যাকাণ্ড, তা বলা যাচ্ছে না।’ সে সময় পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার ছিলেন মো. ইমাম হোসেন। তিনি ঘটনার দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘পরিচিতজনরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে। খুনের আলামত দেখে মনে হচ্ছে, খুনিরা অদক্ষ ও অপেশাদার। তারা ঘটনাটি ডাকাতি বলে সাজানোর চেষ্টা করে।’
খুনিরা সাগর-রুনির ফ্ল্যাটে কীভাবে ঢুকেছে, সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া জরুরি। ঘটনার দিন সরেজমিন পরিদর্শন শেষে পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ফ্ল্যাটে ঢোকার একমাত্র পথ হলো প্রধান ফটক। ভবনটির চারদিকে দেয়াল ও গ্রিল দিয়ে সুরক্ষিত। বাইরের সীমানা গ্রিলে কোথাও ভাঙা বা কাটা নেই। তবে পাঁচতলার রান্নাঘরের পাশের জানালার গ্রিলের পাত খুলে বা কেটে ৭-৮ ইঞ্চি চওড়া একটা ফুটো করা হয়েছে। তবে সেই ফুটো দিয়ে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ঢোকা সম্ভব নয়। এ ছাড়া রান্নাঘরের ওপারে পা দেওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। পুলিশ তখন জানায়, খুনিকে অবশ্যই প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতে ও বের হতে হয়েছে। খুনি যেই হোক না কেন, নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র খুনিদের দেখেছেন। তাই পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার দুই মাস আগে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে যোগ দেওয়া পলাশ ভোরবেলা একজনকে ভবন থেকে বের হতে দেখেছেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন।
হাইকোর্টে নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন যে টাস্কফোর্স গঠিত হবে তাদের হত্যাকাণ্ডের সময়কার থানা পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি যে ল্যাপটপ উদ্ধারের কথা বলেছিলেন, সেটি এখন কোথায়? ল্যাপটপ নিয়ে অনেক গুঞ্জন রয়েছে, তার সুরাহা জরুরি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন কীসের ভিত্তিতে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছিলেন তাও তদন্তের আওতায় আনা দরকার। সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কোন কোন পুলিশ কর্মকর্তা এমন আশ্বস্ত করেছেন, তাদের খুঁজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। মোদ্দা কথা, সাংবাদিক সমাজ হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে দ্রুত সত্যিকারের দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই খুনিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।
লেখক: এম আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও সাবেক সভাপতি, বিএফইউজে
আপনার মতামত লিখুন :