যায়, কাগজপত্র ঠিক থাকলেও মায়ের ভিসা দিলেও সঙ্গে থাকা বাচ্চার ভিসা অনেক সময় পাওয়া যায় না। পরেরবার আবেদনের জন্য রাখা হয়। এছাড়া মেডিকেলের ক্ষেত্রে ছয় মাসের ভিসা দিলেও অনেক সময় একবার ভ্রমণের সুযোগ মিলছে। এতে চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পূর্ণ হচ্ছে না। পরে আবার ভিসা করাতে বা দীর্ঘসময় ভারতে থেকে চিকিৎসা শেষ করতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
তারা বলেন, ছয় মাসের মাল্টিপল ট্যুরিস্ট ভিসায় মাসে দু’বারের বেশি পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভ্রমণ করা যায় না। আবার অনেক সময় দেখা যায় বিজনেস ভিসায় বারবার গেলেও নানা জবাব দিতে হয়। অথচ ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা এ ধরনের কোনো শর্ত ছাড়াই অনায়াসে ব্যবসা, চাকরি বা স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে বাংলাদেশে আসেন।
পাসপোর্টযাত্রী রহমান বলেন, মেডিকেল ভিসায় আগে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার বুকিং নিয়ে সেই ডাক্তারকেই দেখানোর ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। তবে এখন সমস্যা হচ্ছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আয় বাড়াতে দূতাবাস এ পদ্ধতি অবলম্বন করছে বলে লোকমুখে শুনেছি। তিনি বলেন, অনেকে বাধ্য হয়ে ভারতে চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু দেশে ফেরার সময় বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল সংকটে ৪-৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। মেডিকেল ভিসার জন্য পাসপোর্ট জমার সিরিয়াল নিতে যদি দুইমাস অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে জরুরি চিকিৎসা কীভাবে পাবো?
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, দ্রুত বেনাপোল বন্দর পার হলেও পেট্রাপোল বন্দরে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে বলে শুনেছি। সেবার মান বাড়াতে বিভিন্ন সময়ে আলোচনা সভায় পেট্টাপোল কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করলেও তারা সেটা মানছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :