বাগেরহাটের হত্যা ও ছাত্র জনতার উপর হামলার
মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে
: বাগেরহাটের খলিল মিনা হত্যা ও ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে তাদের উপর হামলা ও নাশকতাসহ একাধীক মামলার আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের মদদপুষ্ট মোংলা কাস্টমস এজেন্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সরোয়ার হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক খন্দকার সাজ্জাদ হোসেন।
এদের বিরুদ্ধে মোংলা বন্দর থেকে রাতের আধারে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কন্টেইনারসহ পণ্য চোরাচালান ও বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে মোংলা বন্দর থেকে নানা রকম অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে দুদক তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
খুলনার একটি পরিদর্শন কোম্পানীর সাথে যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে তারা মোংলা বন্দর থেকে এই অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে এসেছে।
বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর সকাল ১০ টার দিকে সদর থানার বেমরতা এলাকায় ফতেপুরের খলিল মিনাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যাকারীরা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাকর্মী হওয়ায় খলিল মিনা হত্যার মামলা দায়ের হয়নি। সরকার পরিবর্তনের পর নিহতের ছেলে ইসমাইল মিনা বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামী করে বাগেরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার আসামীদের মধ্যে ১৭ নম্বর আসামী হলেন শেখ সরোয়ার হোসেন (৪৫) ও ২০ খন্দকার সাজ্জাদ হোসেন (৪৭)।
এই মামলা গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য সিআইডি বাগেরহাটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
অপরদিকে গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা আসামী হন সাজ্জাত ও সরোয়ার। মামলায় বলা হয়, গত ৪ আগস্ট বাগেরহাটের সোনাতলা এলাকায় খানজাহান আলী ডিগ্রী কলেজের মেইন গেটের সামনে মহাসড়কে বিএনপি জামায়াত সহ ছাত্র জনতা আন্দোলন করার সময় আসামীরা তাদের উপর রামদা, লোহার রড, হাতুড়ি, লাঠিসহ হামলা চালায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। হামলাকারীরা অনেকের কাছে বিশাল অংকের চাঁদা দাবি করেন। এই মামলায় বাদী ইসমাইল মিনাও আহত হন। তিনি গত ২২ অক্টোবর বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ৬৭ নম্বর আসামী হলেন সরোয়ার হোসেন ও ৫০ নম্বর আসামী হলেন খন্দকার সাজ্জাদ হোসেন। দুইটি মামলাই বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :