বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের তেঁতুলতলা ১০ কপাটি সুইচগেট এলাকায় অসহায় ভূমিহীনদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা অফিসার ইনচার্জ ও সেনাবাহিনী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ভূক্তভোগী ভূমিহীন পরিবার । অভিযোগে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে উক্ত কথিত আ’লীগ ও তার ভাড়াটিয়ারা আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সংঘবদ্ধ হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে । এসময় ৫ জন গুরুত্বর আহত হলেও এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে । এব্যাপারে ভূক্তভোগী ভূমিহীনরা অভিযোগটি আমলে তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন । নিম্ন স্বাক্ষরকারীগন এই মর্মে সন্ত্রাসী- বাহিনির বিরুদ্ধে-অভিযোগ করিতেছি যে, গত ইং ০৫/০৮/২০২৪ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.০০ ঘটিকার সময় স্থান তেতুলতলা দশ গেট বড় রাস্তার উপর। প্রধান মন্ত্রীর পদত্যাগের পর মুহুর্তে নির্যাতনের স্বীকার অজ্ঞাতনামা বহিরাগতরা সাইফুল খান, সফিকুল খান ও ওদের-বাড়ি-ঘর ভংচুর করে ও চলে যাওয়ার পর মুহুতে আওমিলিগের সন্ত্রাসী বাহীনির প্রধান মনিরুল ইসলাম, পিতা অজ্ঞাত ও তার ভাগিনা ১. ছাইফুল খান ২. সফিকুল খান, ৩. জাহিদ খান ও রফিকুল খান সর্ব পিতাঃ মৃত জব্বার খান, এর খালাত ভাই নোমান গজী, পিতা- আক্তার গাজী, সর্ব সাং- পুটিমারী দশ গেট, লবণচরা, খুলনা। দল বন্ধ হইয়া তাহাদের বাড়ী-ভংচুর ও অগ্নি সংযোগকারী সন্দেহে তেতুলতলা গ্রামের ১. আজিজুল শেখ ২. ইমাম শেখ, উভয় পিতা- আফজাল শেখ। ৩. আলাউদ্দিন হাওলাদার, পিতা- রুহুল হাওলাদার, ৪. ফেরদাউস ফরাজী, পিতা- মনিরুজ্জামান ফরাজী, ৫. হাসান হাওলাদার, পিতা- শহীদুল হাওলাদার সর্ব সাং- তেতুলতলা, বটিয়াঘাটা, খুলনা দয়রা রাস্তায় থাকলে তখন সন্ত্রাসীবাহীনি দলবদ্ধ হয়ে উক্ত ৫ জনের উপর অতর্কিত হামলা করে। এবং উলেক্ষিত ৫ জনকে মাথায় কোপাইয়া মারাত্মক জখম করে ও এলোপাথারি মারপিট করে। ইহার মধ্য অজিজুলের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ৪ টি কোপ দেয়। তাহার অবস্থা আশঙ্খাজনক, বাকি ৪ জনের প্রত্যেকের মাথায় ১/২ টি করে ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়েছে। জখমীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।সন্ত্রাসী বাহির কিছু-কর্মকান্ডের বর্ণনা দেয়া-হইলঃ
খুলনা শহরের শেখ সোহেলের সহযোগী আওমী সন্ত্রাসী শওকাত সাহেব খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হরুন সাহেবের সহযগী কামরজ্জামান জামাল এর সহযোগী সাইফুল ও শফিকুল বাহিনী এলাকায় করে নাই-এমন কোন কাজ নাই।সাইফুল শফিকুল গং আওমীলীগের প্রভাব খাটিয়ে সাধার মানুষদের কাছ থেকে চাদা,আদায়,হুমকি,মারপিট সহ জামাত বিএনপির লোকদের ধরিয়ে দেয়া সহ লোজন তাদের কাছে জিম্মি ছিল।ভূমিহীনদের সরকারী ঘর বিক্রি করে লক্ষ্যলক্ষ্য টাকা হাতিয়া নিয়েছে। আওয়ামীলিগের নেতা জামালা সাহেবের জায়গা দেখাশোনা করার সুবাদে সেখানে দীর্ঘ দিন
যাবৎ নারী-ব্যবসা-ও জুয়ার অড্ডা চালিয়ে আসছে।
শওকত সাহেবের জায়গা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখা শোনার সুবাদে সেখানেও প্রতি রাতে জুয়ার
আসর বসে।নদীতে বহিরাগত জেলেরা মাছ ধরতে আসলে তাদের থেকেও চাদা আদায় করতো। চাদা না দিলে দশ গেটে কোন জেলেদের নৌকা রাখতে দিত না।
পুলিশের দালালী করিয়া সব সময় এলাকার মানুষদের হয়রানি করিয়া অসিতেছে।সরজমিনে তদন্ত করিলে উক্ত ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাইবে।
আপনার মতামত লিখুন :