এরিই ধারাবাহিকতায় গত (২৪ জুন) রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে কুয়েট পকেট গেট সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা আরিফ মোবাইল ফোনে কথা বলছিলো। এ সময় ফুলবাড়িগেটের দিক থেকে মোটরসাইকেলে করে তিনজন দূর্বৃত্ত তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। নিহত আরিফ যোগীপোল ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ও ৩৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক। ঘটনার একদিন পর নিহতের পিতা সিআইডি’র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় হত্যার কারন এবং হত্যাকাণ্ডের জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষে থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশের সমন্বয়ে একটি চৌকস তদন্ত টিম গঠন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুজন সরকার নামে এক জন আসামীকে অস্ত্র ও গুলি সহ গ্রপ্তার করে। পরবর্তীতে (২৮ জুলাই) দিবা গত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরংঘাটা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম উক্ত হত্যা মামলায় জড়িত আরও ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আরংঘাটা থানার ল্যাবরেটরী মোর এলাকার মিল্টন সানার পুত্র মোঃ রিয়াদ সানা, ও দৌলতপুর থানা মহেশ্বরপাশা এলাকার মোঃ শামিম মোড়ল এর পুত্র বোরহান উদ্দিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ টি কাটা রাইফেল, ১ টি ম্যাগজিন সহ পিস্তল, ১ টি ওয়ান শ্যুটার গান, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ২ টি এম্পটি কার্তুজ উদ্ধার করে আরংঘাটা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পাশাপাশি অস্ত্র আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :