চাঞ্চল্যকর সাবেক ইউপি সদস্য আরিফ হত্যায় ২ যুবক গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার।


আজকের কন্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশের সময় : জুলাই ২৯, ২০২৪, ৬:৪৯ অপরাহ্ন /
চাঞ্চল্যকর সাবেক ইউপি সদস্য আরিফ হত্যায় ২ যুবক গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার।
  1. আল আমিন সিকদার ঃ আলোচিত সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আরিফ হত্যার সঙ্গে জড়িত ২ যুবক কে গ্রপ্তার করেছে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ। এছাড়াও পুলিশ ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ২ টি এম্পটি কার্তুজ উদ্ধার করে। সোমবার দুপুর ৩ টায় কেএমপি হেডকোর্য়াটার্স সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক। এ সময় তিনি বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ অপরাধ দমন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীর সেবায় সর্বদা তৎপর। আমরা বিগত কয়েক মাস থেকেই খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, নাশকতাকারী, স্বর্ণ চোরাচালানকারী, মাদক ব্যবসায়ী, জঙ্গি, অস্ত্র-গোলাবারুদ ব্যবসায়ী, চোরাই মোটরসাইকেল, জুয়াড়ি, বিকাশ এবং অনলাইন প্রতারণায় জড়িত প্রতারক, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত, হত্যাকান্ডে জড়িত আসামী ও ভূমিদস্যুসহ সমাজে যারা প্রভাব বিস্তার করে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে তাদের গ্রেফতারের জন্য সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছি।

এরিই ধারাবাহিকতায় গত (২৪ জুন) রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে কুয়েট পকেট গেট সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা আরিফ মোবাইল ফোনে কথা বলছিলো। এ সময় ফুলবাড়িগেটের দিক থেকে মোটরসাইকেলে করে তিনজন দূর্বৃত্ত তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। নিহত আরিফ যোগীপোল ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ও ৩৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক। ঘটনার একদিন পর নিহতের পিতা সিআইডি’র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় হত্যার কারন এবং হত্যাকাণ্ডের জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষে থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশের সমন্বয়ে একটি চৌকস তদন্ত টিম গঠন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুজন সরকার নামে এক জন আসামীকে অস্ত্র ও গুলি সহ গ্রপ্তার করে। পরবর্তীতে (২৮ জুলাই) দিবা গত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আরংঘাটা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম উক্ত হত্যা মামলায় জড়িত আরও ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আরংঘাটা থানার ল্যাবরেটরী মোর এলাকার মিল্টন সানার পুত্র মোঃ রিয়াদ সানা, ও দৌলতপুর থানা মহেশ্বরপাশা এলাকার মোঃ শামিম মোড়ল এর পুত্র বোরহান উদ্দিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ টি কাটা রাইফেল, ১ টি ম্যাগজিন সহ পিস্তল, ১ টি ওয়ান শ্যুটার গান, ৬ রাউন্ড গুলি এবং ২ টি এম্পটি কার্তুজ উদ্ধার করে আরংঘাটা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার পাশাপাশি অস্ত্র আইনেও মামলা রুজু করা হয়েছে।