পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে দেশের কোনো সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ রাখা যাবে না। পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার না করে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ডিসি ও পুলিশ সুপারদের এ নির্দেশ দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সভায় জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পলিথিনের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে, নদী-নালা ও জলাশয় দূষিত করছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসব কারণে প্লাস্টিক পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে সব পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
এ ছাড়া তিনি বলেন, ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, সতর্ক করার ও কঠোর হওয়ার সময় পার হয়েছে। অভিযানের লক্ষ্য শাস্তি নয়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, পরিবহন এবং ব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসনের সমন্বিত পদক্ষেপই পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করে আইন করা হয়। তবে ২২ বছর পর বাস্তবতা কী, তা সবাই দেখছে নিত্যদিন। বর্ষায় জলাবদ্ধতায় যখন ড্রেনের পানি আটকে যায়, তখন পলিথিন নিয়ে কথা উঠে, বর্ষা শেষে আবার সবাই যেন ভুলে যায় তা।
গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে রিজওয়ানা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :